শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০০৮

কর্মক্ষেত্রে নারী


“এ পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।”
মানুষ সামাজিক জীব। এই সমাজে সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন জীবিকার। আর তাই প্রত্যেকটি প্রাণী বেঁচে থাকার তাগিদে জীবিকা উপার্জনের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট চেষ্টা সাধন করে থাকে। সে শিক্ষিতই হোক আর অশিক্ষিতই হোক। পুরুষ হোক বা নারী, হোক বৃদ্ধ কি বনিতা। নিজের পেটের ক্ষুধা নিজেকেই তো নিবারন করতে হবে। আর তাই আজকাল আমাদের সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও দেখা যায় জীবিকা উপার্জনের চেষ্টা। কিন্তু আমাদের সমাজের এই শোষিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত নারীরা পিছিয়ে নেই পুরুষদের চাইতে এতটুকু পরিমান। বরং তাঁরা আজ প্রমাণ করেছে- তাঁরা শুধু স্ত্রী, মা, গৃহকত্রী এই ত্রি বেনীর সংযোগের পাশাপাশি তাঁরা অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তা কিংবা স্বতন্ত্র পরিচয়ের প্রেক্ষাপট কিংবা উভয়টি প্রতিষ্ঠার মানসে আজকাল অনেক মহিলা গৃহের বাইরে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের পেশায় যুক্ত হচ্ছে। কেবল শিক্ষিত মহিলারাই বহির্জগতে কাজ করছে না, অল্প শিক্ষিত মহিলারাও তাদের গন্ডির বাইরে এসে কাজ করছে এবং আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে। তাই বলা যায় কর্মক্ষেত্রে নারীরাও হতে পারে পুরুষের অর্ধাঙ্গী।

কোন মন্তব্য নেই: